Kapil Krishna Thakur
আশ্বিনের শেষ, কার্তিকের শুরু। আজ রাতেই গাস্যি পরব! ভাবলে মনটা কেমন উদাস হয়ে যায়।শৈশবের সেই ফেলে আসা নিকানো উঠোনে কি আজও ভোররাতে কেউ দেবে চালের গুঁড়োর শুভ্র আলপনা? কাকভোরে স্নানের জন্য বেটে রাখা হবে কাঁচা হলুদ, নিমপাতা; হিম জলে স্নান সেরে ঠোঁটে মাখা হবে কাঁচা তেঁতুল পোড়ানো ক্রীম, আর চোখে কলার ডগা থেকে তৈরী কাজল? প্রকৃতির সন্তানদের জন্য কী অসামান্য আয়োজন। হায় শৈশব!
নস্টালজিক হতেই 'উজানতলীর'পাতা খুলে বসলাম।–"একটু পরেই বেড়ায়-বাতায় সপাসপ শব্দ। এ ঘর থেকে সে ঘর, সে ঘর থেকে সে বাড়ি, বাড়ি থেকে পাড়া, পাড়া ছাড়িয়ে গ্রাম, শেষে সারা মহল্লাই। আর মুখে মুখে সমবেত ছড়ার চিৎকার—এই দ্যাশের ইন্দুর-বান্দর ভাটির দ্যাশে যায়,/ ভাটির দ্যাশের লক্ষ্মীঠারন এই দ্যাশে আয়। …দেখতে দেখতে হাতে হাতে জ্বলে উঠেছে মশাল। সেই মশাল ভোর রাতের আবছা অন্ধকারকে মহিমান্বিত করে আলোকমালার মতো ঘুরছে বৃত্তাকারে"। সেই স্বদেশ আর কৃষি-সংস্কৃতি থেকে অনেক দূরে আমরা, দূরে তাই সেই সব পরব থেকেও।